প্রিয় টগবগে তরুণ প্রজন্ম
শুভেচ্ছা নিবেন।
আমি জানি আপনারা অনেকেই করোনাভাইরাস কে ভয় পান না। তাই আপনারা অবাধে চলাফেরা করছেন। মিছিল, মিটিং, জনসভা, হাট-বাজার, খেলার মাঠ, ভীড়, জনসমাগম কোথায়ও আপনাদের বীরদর্প পদচারনার কমতি নেই।
এখন আপনাদের বীরত্বের বয়স, তাই সেটা দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কিন্তু খেয়াল রাখবেন, আপনার বীরত্বের মূল্য যেন কোন বয়স্ক মানুষকে দিতে না হয়।
আপনার জ্ঞাতার্থে কিছু কথা বলে রাখি – বয়স্ক মানুষদের জন্য করোনাভাইরাস এক মৃত্যু দূতের নাম।
আপনার বীর দর্প চলাফেরার জন্য যদি তাদের কেউ আক্রান্ত হয়, তবে সম্ভবত মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই বয়স্ক মানুষটা আপনার বীরত্বের মূল্য পরিশোধ করে যাবে।
এই মৃত্যুর জন্য, জ্ঞাতে কিংবা অজ্ঞাতে দায়ী থাকবেন আপনি। আপনার অতি সাহসী বেয়াড়া চলাফেরা।
দয়া করে সচেতন হোন।
ভুলে যাবেন না, তারুণ্য একটি সাময়িক অবস্থা মাত্র।
আজকের তরুণ, আগামী দিনের বৃদ্ধ।
Please act responsibly.
Please take care of the elder.
ভাল থাকুন, ভাল রাখুন।
—- Sajal Kanti Ghosh
MPH, Queensland University of Technology, Australia
MBA & BBA, Jagannath University, Bangladesh
—-
Reference:
Centers for Disease Control and Prevention (CDC). 2020. “Coronavirus Disease 2019 (COVID-19) : People who are at higher risk for severe illness” Accessed March 26,2020. https://www.cdc.gov/…/specific-g…/people-at-higher-risk.html
At the media briefing on COVID-19 (Coronavirus) on 28 February 2020, the Director-General of the World Health Organization (WHO) discussed the current situation of the coronavirus outbreak. He said –
“Our greatest enemy right now is not the virus itself. It’s fear, rumours and stigma.”
The chair of the Global Health Council, Dr. Jonathan D. Quick, also agrees – fear is one of the major hindrances towards the management of any global pandemic.
In the book titled ‘The End of Epidemics” he wrote, small infectious-disease outbreaks explode into global pandemics through human action or inaction. We human beings are too often victims of our own psychological, political, and sociological failures.
Since the earliest times, fear is one of the human failings that have stopped or delayed effective prevention and response.
We are all afraid of death. We respond to the fear of epidemic disease by wanting to blame someone else. Anytime a threat arises, we want to blame the “other,” those not like “us.” At the outbreak of the 1918 Spanish flu, Americans blamed “the Hun.” AIDS was blamed on gay men. We want to punish those with the disease, pretending that whatever makes them other has cursed them. The most contagious behavioural reaction that affects political leaders, businesspeople, and the public is panic that disproportionately exceeds the actual event. Scared people over personalize the news, and their worries increase. Fear is a warning system intended to alert us to impending danger, just as it is in animals. When we let it override our rationality, we make things much worse.
Reference:
Quick, J.D. and Fryer, B., 2018. The end of epidemics: The looming threat to humanity and how to stop it. St. Martin’s Press.
গত দুই মাস ধরে সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশের জনগণের মধ্যেও নোভেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে একপ্রকার আতঙ্ক বিরাজ করছে।ভাইরাসটি সম্পর্কে জনমনে আগ্রহ, তথ্য এবং সম্ম্ভাব্য বিভ্রান্তিরও কমতি নেই। ভাইরসাটির উৎপত্তি মূলত চীন দেশে হলেও, বিশ্বেরঅনেক দেশেই তা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী চীন সহ সারা বিশ্বের মোট ২৬ টি দেশে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েপড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই পর্যন্ত ৭১,৪২৯ জন করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। চীন সহ অন্যান্য দেশের সাথেবাংলাদেশের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলে ভাইরাসটি আমাদের দেশেও ছড়াতে পারে বলে প্রবল আশংকা রয়েছে। এ ছাড়াও হাঁচি-কাশি সহ বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে বলে আশংকাটি আর তীব্র হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী ‘দি ল্যানসেট’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিস’ এপ্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণাপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাভাইরাস এর রিপ্রোডাকশন নাম্বার প্রায় ২.২৪ থেকে ৩.৫৮। এর অর্থ – প্রতি একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নতুন করে প্রায় ২ থেকে ৪ জন সুস্থ্য মানুষকে আক্রান্ত (সংক্রমণ) করতে পারে।
সংক্রমণ এর এই উচ্চ হার এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনবসতির কারনে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রীতিমতজনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এই আতঙ্কটা অনেকটা এমন, মনে হয় যেন – আজরাইল আপনার এলাকায় এসে চা খাচ্ছে । চাখাওয়া শেষেই সে আপনার সাথে আসবে দেখা করতে।
কী ভয়ংকর একটা অবস্থা। হলিউডের সিনেমার মত সবার মনে একটাই ভয় – কখন জানি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুরো এলাকা গোরস্তান হয়ে যায়।
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে – এতসব দুঃসংবাদের মাঝেও একটা সুংবাদ আছে। আর সেটা হলো – করোনাভাইরাস মোটেই এতটাপ্রাণঘাতী নয়, যতটা আমরা ভাবছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সর্বশেষ তথ্য, হিসাব ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস এর কেইসফ্যাটালিটি রেইট প্রায় ২%। অর্থাৎ – সম্প্রতি করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কেবল মাত্র ২% মারাগিয়েছেন। বাদ-বাকী ৯৮% রোগী সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরে গিয়েছেন অথবা চিকিৎসাধীন আছেন। আরো মজার বিষয় হচ্ছে – মৃত এই ২% এর মধ্যে অধিকংশ রোগীইছিলেন বৃদ্ধ, এবং ইতোমধ্যেই আরো অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত।
নিঃসন্দেহে এটা একটা ভালো খবর।
তাই, একজন তরুণ জনস্বাস্থ্যবিদ হিসেবে আমার পরামর্শ হলো – করোনাভাইরাস নিয়ে অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা বাদ দিন।
আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিন, এবং পরামর্শ মেনে চলুন।
পরিশেষে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।
—–
লেখক পরিচতিঃ
সজল কান্তি ঘোষ
জনস্বাস্থ্যবিদ
মাষ্টার অফ পাবলিক হেলথ
কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, অস্ট্রেলিয়া
Deutsche Welle. 2020. “Why coronavirus fears are disproportionate compared with other health risks”. Accessed February 20, 2020. https://www.dw.com/en/why-coronavirus-fears-are-disproportionate-compared-with-other-health-risks/a-52281566
Zhao, S., Lin, Q., Ran, J., Musa, S.S., Yang, G., Wang, W., Lou, Y., Gao, D., Yang, L., He, D. and Wang, M.H., 2020. Preliminary estimation of the basic reproduction number of novel coronavirus (2019-nCoV) in China, from 2019 to 2020: A data-driven analysis in the early phase of the outbreak. International Journal of Infectious Diseases.
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত হবেন না। ভেবে বসবেন না যে – আজরাইল 👻আপনার এলাকায় এসে চা খাচ্ছে ☕️। চা খাওয়া শেষেই আপনার পালা 😳
আপনি বরং, আয়েশ করুন 🤣
বিষয়টা তবে একটু ব্যাখ্যা করি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সর্বশেষ [1, 2] তথ্য ও হিসাব অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস এর কেইস ফ্যাটালিটি রেইট প্রায় ২%। রিপোর্ট এর বক্তব্য অনুযায়ী –
“It is estimated that about 2% of people who have caught the coronavirus have died from it, and that they generally come from already-vulnerable groups such as older people or people with other severe illnesses” [2]।
সোজা বাংলায় যার মর্ম দাঁড়ায় – সম্প্রতি করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কেবল মাত্র ২% মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ – বাদ-বাকী ৯৮% রোগী সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরে আয়েশ করছেন 🤣
আরো মজার বিষয় হচ্ছে – মৃত এই ২% এর মধ্যে অধিকংশ রোগীই ছিলেন বৃদ্ধ, এবং ইতোমধ্যেই আরো অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত।
সুতরাং, দুঃশ্চিন্তা না করে আয়েশ করুন।
অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিন, এবং পরামর্শ মেনে চলুন। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।
You must be logged in to post a comment.