এর নাম “যৌক্তিক প্রত্যাশার তত্ব”। ১৯৯৫ সালে অর্থনীতিবিদ রবার্ট লুকাস এই তত্বের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। এর সারমর্ম হচ্ছে – মানুষের প্রত্যাশা নির্ধারিত হয় তার অতীত অভিজ্ঞতা, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত, এবং নিজস্ব বুদ্ধি-বিচক্ষনতার উপর। এতে করে প্রত্যাশা গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে (কল্পনা নয়, বরং) সত্যে পরিণত হয়। 

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, রবার্ট লুকাসের প্রাক্তন স্ত্রী, রিটা লুকাস, তাদের ডিভোর্সের সময় একটা অদ্ভুত কান্ড করে বসেন। প্রোপার্টি সেটেলমেন্ট চুক্তিনামায় রিটা লিখে দিয়েছেন – রবার্ট যদি আগামী ৭ বছরের মধ্যে নোবেল পুরস্কার পায় তাহলে পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ রিটাকে দিয়ে দিতে হবে

আশ্চর্যজনক ভাবে, রবার্ট লুকাস ৭ বছরের মধ্যেই নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন এবং রিটা লুকাস রাতারাতি $500,000 ডলারের মালিক হয়ে যান। 

এই গল্পের বেশ কয়েকটি নীতি শিক্ষা আছেঃ

  1. স্বামীর সাথে থাকতে-থাকতে রিটা লুকাসও কিছুটা অর্থনীতি শিখেছিলেন।
  2. রিটা লুকাসও তার নিজস্ব বুদ্ধি-বিচক্ষনতা এবং অতীতের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে স্বামীর উপর “যৌক্তিক প্রত্যাশা” করেছিলেন।
  3. এবং সেই প্রত্যাশার উপর বাজী ধরেছিলেন।

এই গল্পের অনুসিদ্ধান্ত হচ্ছেঃ

  • অযৌক্তিক নয়, বরং যৌক্তিক প্রত্যাশা এবং নিজস্ব বিচক্ষণতাই আমাদের কর্ম পরিকল্পনার মানদন্ড হওয়া উচিত।
  • যৌক্তিক প্রত্যাশার উপর বাজিও ধরা যায়।


in categories

, ,

Stay current with advanced knowledge, professional skills, and industry insights. Sign up for our newsletter and never miss a thing.

%d bloggers like this: