প্যাঁক ,প্যাঁক,প্যাঁক,
– Sajal Kanti Ghosh
আমার একটা শখ দেখ।
শখের কোন বেইল নাই,
তবুও আমি হাঁস হতে চাই।
নদী, জল, হাঁস
আমার চিন্তায় বারো মাস।
ভুল বলছিনে ভাই
নদী, জল, হাঁসের কাছে জীবনের শিক্ষা পাই।
দর্শন এবং আধ্যাত্মের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার চিন্তা-চেতনায় নদী, জল, হাঁসের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সার্বক্ষনিক। আধ্যাত্মের খটমটে তাত্মিক আলোচনা বাদ দিলেও এই তিন উপাদান এডভেঞ্চার এর উপদান হিসেবেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
অনেক ঋতুর মতই বর্ষা আমার আরেকটি প্রিয় ঋতু। অস্ট্রেলিয়া যখন ছিলাম, তখন নিজের দেশের বর্ষা ঋতুর কথা মনে পড়তো, প্রায়ই। বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলের ঘ্রাণ, টিনের চালে রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ, দূর দিগন্তে ফুটে থাকা শাপলা, কলার ভেলা বেয়ে মাছ ধরা, তারপর সন্ধে নামলে ঝিঁঝিঁ পোকা আর ব্যাঙ্গদের একটানা ঘুমপাড়ানী গান – এইসব আমার হারানো শৈশবের গল্প। যেই শৈশবকে আমি প্রায়ই ফিরে পেতে চাই।
গতকাল সেই শৈশবকে ফিরে পেতে গিয়েছিলাম।
সেদিন কেউ অভিযোগ করে বলেছিলো আমি না-কি জাঁদরেল প্রফেশনাল। বড় মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু আমি তো প্রায়ই নদীর ছবি আঁকি। কে জানে, সেই ছবি হয়তো সে দেখেনি কোনদিন। কিংবা হয়ত দেখতে চায়নি। আমি তো প্রায়ই ভাবি –
কাল ভোরে আমি প্রজাপতি হব, হব সবুজ ঘাস।
– Sajal Kanti Ghosh
নদীর বুকে ভাসব আমি, হয়ে রাজ হাঁস 🦢
হাঁস হয়ে আকাশে উড়তে পারব না। কিন্তু, জলে স্থলে সারাদিন ডেকে বেড়াব –
প্যাঁক প্যাঁক প্যাঁক,
-Sajal Kanti Ghosh
এই চেয়ে দেখ –
আমি হয়েছি রাজ হাঁস 🦢
কল্পলোকের জলে বার মাস।
(যদি মন কাঁদে, তবে তুইও চলে আস)
– সজল
২৯ জুলাই ২০২০ | বর্ষা | বাংলাদেশ